পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীকে মারধর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে হাসপাতালের আউটসোর্সিয়ের কর্মচারীরা। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আউটসোর্সিয়ের কর্মরত ২৯ কর্মচারীকে ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া হাসপাতালের হিসাবরক্ষক হাসানুজ্জামান চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উৎকোচ বাণিজ্যে হিসাবরক্ষক হাসানের সহযোগী হয়ে কাজ করেছে অফিস সহকারী জাফর। করোনাকালে প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিলেও তা দেয়া হয়নি। মানববন্ধনে তারা হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
কর্মসূচিতে আসমা বেগম নামে এক নারী বলেন, গত বছরের ২৮ আগষ্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাকে ব্যাপক মারধর করে জাফর ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো আইনগত সহয়তা পাইনি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু ঠিকাদার তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে আমি কী করবো, সেজন্য তাদের কাজ ছেড়ে দিতে বলেছি। আর হিসাবরক্ষক হাসানের বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।